তো আপনি একজন youtuber হতে চান. তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গাতে এসেছেন. লাস্ট পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আমি সাকসেসফুলি ইউটিউব থেকে আর্নিং করছি. আর আমার এক্সপেরিয়েন্স এর উপর বেশ করে একজন সাকসেসফুল ইউটিউবার হওয়ার জন্য কি কি স্টেপ নেওয়ার প্রয়োজন? তার প্রাক্টিক্যাল নলেজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি. যেটা আপনার লাইফকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে.
1. সবার প্রথমে আপনি নিজের কাছে ক্লিয়ার থাকুন.
যে আপনি ইউটিউবে কেন এসেছেন just part টাইম নিজের luck কে try করার জন্য যে একবার try করে দেখি যদি হয়ে যায় তাহলে কন্টিনিউ করবো আর না হলে অন্য অপশন নাকি আপনি ইউটিউবকে আপনার ফুল টাইম কেরিয়ার হিসেবে নিতে চাইছেন আপনি কি ইউটিউবের জন্য আপনার লাইফে নেক্সট কিছু বছর সাক্রিফাইস করতে রাজি আছেন. নেক্সট এক থেকে দু বছর আপনি কি শুধু ইউটিউব ক্যারিয়ার গ্রোথের জন্যই কাজ করতে পারবেন?
2. টেক দা মোস্ট ইম্পর্টেন্ট ডিসিশান.
আপনার ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার আগে প্রথমে আপনার ব্রেন থেকে এই ভাবনাটি সম্পূর্ণ বের করে দিন. যে বাকি ক্রিয়েটাররা কি করছে? কারা কারা কম্পিটিশনে আছে, কে বড় ক্রিয়টার, কে ছোট ক্রিয়েটার তারাই বা কি করছে? আপনার এটা দেখার একেবারেই দরকার নেই. যে এই টপিকে বেশি ভিউ আসে তাই আমি এই টপিকেই কাজ করবো. ওখানে বেশি পয়সা. তাই আমি ওই ক্যাটাগরির ভিডিও বানাবো. এই ক্যাটাগরিতে ওর বেশি ভিউ আসে. তাই আমারও বেশি ভিউ আসবে. অন্য ক্যাটাগরিতে ওর ভিউ আসে না. তাই আমারও ভিউ আসবে না. এই ভাবনাগুলো বন্ধ করুন. আপনার ব্রেনে যত ক্রিয়েটারের ছবি আছে সবাইকে কিছু সময়ের জন্য নিজের ব্রেন থেকে একেবারে মুছে ফেলার চেষ্টা করুন.এটা ভেবেই নিজের চ্যানেলের ক্যাটাগরি চুজ করুন. জে ক্যাটাগরিতে. আপনি সব থেকে সেরা. হয়তো সেই পার্টিকুলার ক্যাটাগরিতে. বাকি ক্রিয়েটারদের তেমন ভিউ আসে না. কিন্তু যদি কোন পার্টিকুলার ক্যাটাগরিতে আপনি টায়ার্ড ফিল না করে প্রত্যেকদিন বারো থেকে পনেরো ঘণ্টা কাজ করতে পারেন.যে category তে আপনার কাজটাকে কাজ বলেই মনে হবে না. অর্থাৎ যে ক্যাটাগরিতে কাজ করতে আপনি বাস্তবেই এনজয় করবেন. যে ক্যাটাগরিতে কনটেন্ট খুঁজে নিয়ে আসার জন্য কিংবা ক্রিয়েটিভিটি শো করার জন্য. আপনার অন্য কারোর উপর ডিপেন্ডেন্ট হতে হবে না. সেই ক্যাটাগরিতে নিজের চ্যানেলে স্টার্ট করুন. অর্থাৎ অবশ্যই নিজের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী নিচ সিলেক্ট করুন.আর যদি এটা আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে আপনার লাইফ একেবারে সেট. আর যদি এখানে আপনি মিসটেক করে ফেলেন তাহলে আপনার প্রচুর টাইম ওয়েস্ট হবে. আর তার পরে গিয়েও আপনাকে আফসোস করতে হতে পারে.সো একটা পারফেক্ট ক্যাটাগরি চুজ করে নিলে আপনার ইউটিউব জার্নির প্রথম স্টেপ কমপ্লিট.
3.মেক এ টাইম ফ্রেম অ্যান্ড ওয়ার্ক হার্ড.
আপনার চ্যানেলের প্রথম ভিডিও বানানোর আগে আপনি আপনার ডায়েরিতে একটা কথা নোট করে নিন যে নেক্সট ছয় মাসের মধ্যে হয়তো আপনার ওই ভিডিওগুলোতে একটাও ভিউ আসবে না কারণ আপনার চ্যানেলের প্রথম ভিডিওগুলো হয়তো ভীষণ বোরিং হবে. হয়তো বা বেকার কোয়ালিটির হবে. হয়তো লোকে আপনার ভিডিওগুলোকে পছন্দ করবে না. কিংবা আপনার ভিডিওগুলো লোকেদেরকে অ্যাট্রাক্টটি করতে পারবে না. হয়তো আপনার বানানো এই ভিডিওগুলো. আপনার নিজেরও তেমন একটা পছন্দ হবে না.আর যতই আপনি ওপরে ওপরে ভিডিও গুলিকে ভালো মনে করুন না কেন হয়তো বা আপনার ভিডিও গুলিকে দেখে লোকে হাসাহাসি করবে. আপনার বন্ধুরা আপনার ওই ভিডিও গুলিকে নিয়ে মজা করবে. কারো সঙ্গে ভিডিও গুলিকে আপনি শেয়ার করলে তারা হয়তো আপনাকে বলবে যে এসব ফালতু ভিডিও আমাকে সেন্ড করবি না. আর প্রত্যেক ইউটিউবারের সাথেই স্টার্টিং এ এমনটাই হয়. এন্ড আমাকেও এই সেম জিনিসগুলো ফেস করে আসতে হয়েছে. তাই এই পয়েন্টটা অবশ্যই আপনার ইউটিউবের প্রথম ভিডিওগুলো আপলোড করার আগে একটা খাতায় লিখে রাখুন. যাতে মাত্র চারটে কিংবা পাঁচটা ভিডিও বানানোর পরে আপনি ডিমোটিভেট হয়ে ভিডিও বানানো বন্ধনা করে দেন. তো চ্যানেল শুরু করার আগে এই কথাগুলো ভালো করে নিজের মাইন্ডে ঢুকিয়ে নিন. এবং এই সমস্ত সিচুয়েশনকে ফেস করার জন্য আগে থেকেই রেডি হয়ে যান. আর আপনি নিজের কাছেই প্রমিস করুন. যে সিচুয়েশনে যাই হয়ে যাক না কেন. নেক্সট ছ মাস যদি আমার কোন ভিডিওতে একটাও ভিউ না আসে. তাও আমি ওই ছ মাস কনসিস্টেন্সের সাথে বেস্ট কোয়ালিটির ভিডিও বানাতে থাকবো. আর এই টাইম ফ্রেমের মধ্যে আপনি ভিউ,সাবস্ক্রাইবার,নেম, ফ্রেম, মানি. সবকিছু নিজের মাথা থেকে একেবারে বাইরে রাখবেন. তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি যে পরবর্তী ছ মাসের মধ্যেই আপনার ভিডিওগুলির উপর অটোমেটিকলি ভিউ আসতে শুরু হবে.
তা সে আপনার চ্যানেলের ক্যাটাগরি যাই হোক না কেন. কিন্তু এই ছ মাস কোন রকম এক্সপেকটেশন ছাড়ই. আপনাকে সম্পূর্ণ কনসিস্টেন্সির সাথে হার্ড ওয়ার্ক করতেই হবে.
4. লার্নিং.
ইউটিউবে নিজের ক্যারিয়ার বানাতে হলে আপনাকে প্রত্যেকদিন নতুন কিছু শিখতে থাকতে হবে. কারণ আপনি যদি নিজের স্কিলকে ভিডিওর কোয়ালিটিকে নিজের নলেজকে ইমপ্রুভ না করেন. তাহলে আজ আপনি একটা ইউটিউব চ্যানেল গ্রো করে ফেললেও কাল কিন্তু অন্য কেউ আপনাকে বিট করে আপনার জায়গাটা নিয়ে নিতেই পারে. তাই আপনাকে অবশ্যই লার্নিং অরিয়ন্টেড হতে হবে. আর যদি আপনি আপনার লিমিটেড নলেজের উপর বেস করে এই ভিডিও বানাতে থাকেন. তাহলে একটা টাইমের পর গিয় আপনার ভিডিওগুলো কিন্তু একঘেয়ে লাগতে শুরু করবে. তখন আপনার অডিয়েন্সও আপনার ভিডিওগুলি থেকে বোর হতে থাকবে. আর এই কারণেই প্রচুর চ্যানেল বর্তমানে কিন্তু একেবারে রেড হয়ে গেছে. যারা একসময় কোন একটা ক্যাটাগরিতে টপ চ্যানেল হিসেবে পরিচিত ছিল. তাই সবসময় নতুন কিছু শিখতে থাকুন. আর নিজেকে এবং নিজের স্কিলকে ইমপ্রুভ করতে থাকুন. 5.ওয়াচ ইওর ফেভারিট ইউটিউবারস ওল্ড ভিডিওস. এই টিপসটা শুনতে অনেকের কাছেই আজব মনে হলেও এটা আপনার ইউটিউব ক্যারিয়ারকে কিন্তু নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে পারে.আপনি যে ক্যাটাগরিতে আপনার চ্যানেলে নিচ সিলেক্ট করেছেন সেই ক্যাটাগরিতে অলরেডি টপ পজিশনে থাকা আপনার ফেভারিট ইউটিউবারদের ওল্ড ভিডিওজ দেখা শুরু করুন যে তারা যখন স্টার্ট করেছিল তখন তারা কেমন কোয়ালিটির ভিডিও দেখে স্টার্ট করেছিল আর এখন তাদের ভিডিওর কোয়ালিটি কেমন,কতদিনে তারা কতখানি ইমপ্রুভমেন্ট করতে পেরেছে. আর তাদের চ্যানেলের প্রথম ভিডিও থেকে পর পর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, এমনভাবে ভিডিওগুলি দেখতে থাকলে আপনার ক্লিয়ারলি একটা আইডিয়া হয়ে যাবে. যে তারা তাদের ইউটিউব জার্নিতে. প্রথম দিকে কি কি মিস্টেক করেছে? কিংবা অন্য লোকেদের জীবনে এমনকি তারা ভ্যালুয়েট করেছে. যার জন্য তার চ্যানেলটি এত দ্রুত গ্রো করতে পেরেছে. এখান থেকেই আপনি ক্লিয়ারলি এটাও বুঝতে পারবেন যে আপনার ইউটিউব যার্নির স্টার্টিং এ আপনার জন্য কোন স্টেপটা নেওয়া ঠিক হবে? আর কোন স্টেপ গুলো নেওয়া আপনার ইউটিউব জার্নির জন্য একেবারেই ঠিক হবে না.

0 মন্তব্যসমূহ