যদি আপনি এটা জানতে পারেন যে আপনার ফেসে পিম্পেল কেন হয়? এর পিছনে সাইন্সটা আসলে কি? তাহলে আপনি আপনার ফেসের পিম্পলসকে. খুব তাড়াতাড়ি রিমুভ করে ফেলতে পারবেন. আমাদের ফেসে পিম্পেলস হওয়ার অনেক কারণ আছে. এর মধ্যে সবার প্রথম কারণ হলো যখন একজন মানুষ তার টিনোস থেকে ইয়ং এজে যায়. তখন তার শরীরে অনেক বদল আসে.আর সেই বদলের অনেক সাইড এফেক্ট তার ফেঁসেও দেখতে পাওয়া যায়. কিন্তু পিম্পল হওয়ার আরো বড় কারণ হলো আপনার ব্যবহৃত পাউডার, ক্রিম আর ফেসওয়াশ. আমাদের ফেসে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে. যেগুলোকে ফলিকলস বলা হয়.
এই ফলিকলসের ভেতর একটা ইয়োলো রঙের বল থাকে.যেটাকে শিবাম বলে. আর এই শিবামের কাজ হলো আমাদের ফেসকে ময়েশ্চারাইজ করা. তাই এটা ধীরে ধীরে অয়েল প্রডিউস করে. আর সেই অয়েল এই ছিদ্রপদে আমাদের ত্বকে এসে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে. এই কারণেই আমাদের স্কেন ড্রাই হয় না.
ও পুরো দিন ময়েশ্চারাইজ থাকে. এখনো এই যে ব্লু কালার গুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো হল ব্যাকটেরিয়া. যেগুলো সেই অয়েলের সাথে আমাদের ফেসের বাইরে বেড়িয়ে আসে. আর এই ছোট ছোট দাগের মতো যেগুলো দেখছেন সেগুলো হল ডেট সেল. এগুলোও অয়েলের মাধ্যমে বাইরে বেড়িয়ে আসে. কিন্তু আমরা যখন কোন ক্রিম, ফেসপ্যাক প্রভৃতি আমাদের ফেসে লাগাই.তখন এই holes গুলো বন্ধ হয়ে যায়. এবং শিবাম যে অয়েল প্রোডিউস করে সেটাতে স্যার বাইরে বেরোতে পারে না.
ফলে এই ব্যাকটেরিয়াগুলি পাশের স্কিন থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে. সেই কারণে স্কিনের সেই অংশ রেড কালারের হয়ে যায়. আর যখনই স্ক্রিনের সেই অংশ দুর্বল হয়ে পরে.সেখান থেকে একটা পিম্পল বেরিয়ে আসে. আর এই একই প্রক্রিয়া আপনার পুরো face এই চলতে থাকে. তো এখন হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনার face এ pimple কেন হয়? তো চলুন এখন জেনেনি যদি পিম্পল বের হয় তো কি করা উচিত? এবং কি করলে আপনার মুখের পিম্পেলস পুরোপুরি রিমুভ হয়ে যাবে. তো আমি আপনাদেরকে ছটি এমন টিপস বলছি,যেগুলো যদি আপনি একটানা একমাস ফলো করেন তাহলে আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিওর যে আপনার পিম্পেলস পুরোপুরি রিমুভ হয়ে যাবে.আর আমি একদম শেষে এটাও বলব. যে আপনার কি ধরনের ফেসওয়াশ বা ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? টিপস নাম্বার
1. ওয়াশ ইউর ফেস.
আপনার ফেসকে বারবার ধুয়ে ফেলুন. যখন আমাদের ফেসের অয়েল বাইরে বেড়িয়ে আসে. তখন এর সাথে অনেক ব্যাকটেরিয়াও বাইরে বেড়িয়ে আসে. আর যখন আমরা সেটাতে হাত দিই. তখন সেই ব্যাকটেরিয়া এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় লেগে যায়. এর ফলে আমাদের পিম্পেল আরো বেশি বেড়ে যায়.সেই কারণেই চেষ্টা করবেন যে যতটা সম্ভব বারবার করে এক ঘন্টা দেড় ঘন্টা বা দু ঘন্টা অন্তর আপনার মুখটাকে ধুয়ে ফেলা.
2. ড্রিংক লটস অফ ওয়াটার.
বডিকে হাইড্রট রাখা. মানে আপনি যত বেশি জল খাবেন নিজের বডিকে যত বেশি হাইড্রেট রাখবেন আপনার বডি. ততটাই ক্লিন হবে. আর আপনার বডির যে ব্যাড ম্যাটেরিয়াল. ব্যাকটেরিয়া সেটা সেই জায়গা থেকে বের হবে যেখান থেকে তার বেরোনো উচিত এর ফলে আপনার face থেকে সেটা কখনোই বাইরে আসবে না. আর আপনার মুখে কোনো রকম pimples ও হতে পারবে না.
3.নেভার ব্র্যাক পিম্পলেস.
আপনার পিম্পেল কে আপনার হাতের মাধ্যমে কখনোই ফাটাবেন না. অনেকের স্বভাব হয়ে থাকে যে face এ একটাও pimple দেখা গেলে সেটাকে হাত দিয়ে ফাটিয়ে দেয়. এর ফলে সেটার ভেতর থাকা bacteria আপনার skin এ কিন্তু পুরোপুরি ভাবে ছড়িয়ে পড়ে. এবং তার আশেপাশের skin এ pimple হতে শুরু করে. সেই কারণে pimples কে হাত দিয়ে কখনোই ফাটাবেন না অর্থাৎ ওটা আপনার মুখে যেমন আছে তেমনি ছেড়ে দিন. সময় এলে সেটা আপনা আপনিই ফেটে যাবে. আর যদি আপনি আপনি ওই পিম্পেলটা ফেটে যায় তাহলে আপনার কোনো রকম সাইড ইফেক্ট হবে না. আর যদি আপনি এটা ফাটিয়ে দেন. তাহলে কিন্তু সেই জায়গায় স্কিন গর্ত গর্ত হয়ে যাবে. অথবা ব্ল্যাক হয়ে যাবে. আর এই কারণেই আপনার ফেসটাকে একদম বাজে দেখতে লাগবে
4. ডায়েট.
আপনাকে আপনার ডায়েট এর অনেক বেশি খেয়াল রাখতে হবে.Oilly food খাওয়া যাবে না. অর্থাৎ আপনার এই ধরনের খাবার খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে. যাতে অনেক বেশি oil থাকে. কারণ oil এ food আপনার শরীরকে ভেতর থেকে অনেক বেশি hit করে তোলে. আর এই hit আপনার face এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসে. সেই কারণে বেশি করে ভেজিটেবল ফ্রুট এবং ঠান্ডা জিনিস খাওয়ার চেষ্টা করুন.
5.অন্যের টাওয়াল ইউজ করবেন না.
আপনারা হয়তো মুখ ধুয়ে যেকোনো কাপড় বা যে কারোর টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে শুরু করেন. এর ফলে কি হয় যার টাওয়েল, তার শরীরের ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু, সেই টাওয়ালে লেগে থাকে.
আর যখন আপনি সেটা দিয়ে আপনার মুখ মোছেন, তখন সেই ব্যাকটেরিয়া আপনার ফেসেও চলে আসে. আর অন্যের শরীরের ব্যাকটেরিয়া আপনার ফেসে. আরো বেশি করে রিয়েক্ট করে. এবং আপনার মুখে পিম্পেল সৃষ্টি করে. সেই কারণেই অলওয়জ আপনার নিজের টাল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন অর্থাৎ অন্যের টাও কখনোই use করবেন না.
6.কভার ইওর স্কিন.
আপনি যখন বাইরে যাবেন তখন আপনার স্কিনকে কভার করেই বাইরে যান. বিশেষত যখন আপনার পিম্পেল অনেক বেশি বেড়ে যায় তখন অবশ্যই ফেসকে কভার করেই বাইরে যান. কারণ আমাদের ফেসের ওপর যে সমস্ত হোলস থাকে সেখানে সানলাইট লাগার কারণে সেগুলোর সাইজ যেন বেড়ে যায়.
যার ফলে আমাদের স্ক্রিনে অয়েলও অনেক বেশি মাত্রায় বাইরে বেরোতে থাকে. এবং এর সাথে থাকা সমস্ত ব্যাকটেরিয়াও বাইরে বেড়িয়ে আসে. যার ফলে আপনার পিম্পেল অনেক বেশি বেড়ে যায়. এই টিপসগুলোকে আপনি যদি মাত্র একমাস ফলো করেন. তাহলেই আপনার পিম্পেল ফিফটি পার্সেন্ট পর্যন্ত রিমুভ হয়ে যাবে. অ্যান্ড এখন বলবো যা আপনার কি ধরনের face wash বা কি ধরনের ক্রিম use করা উচিত? আমি আপনাকে কোনো রকম ক্রিমের নাম বলবো না, আপনি যে ক্রিম use করেন যে ক্রিম আপনার shoot করেন আপনি সেটাই ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু আপনার একটা জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে যে যখন আপনি ফেস ওয়াশ কিনবেন.
তখন সেটাতে প্যারামিন ফ্রী কেমিক্যাল ফ্রী অয়েল কন্ট্রোল লেখা আছে কিনা. সেটা অবশ্যই দেখে কিনবেন. আর পড়ে থাকলো ক্রিম. তো আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো যে আপনি ন্যাচারাল প্রোডাক্টের ব্যবহার করুন. যেমন হলদি, মুলতানিবাটি, অ্যালোভেরা জেল, মিল এই সমস্ত প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করুন. এতে আপনার কোন প্রকারের সাইড এফেক্ট হবে না.
কিন্তু যদি আপনি কোন ফেস ওয়াশ কিংবা ক্রিম ইউজ করতে চান তাহলে ভুলবশত. যদি সেটা আপনার স্ক্রিনে শুট না করে তাহলে সাইড এফেক্ট তো হবেই. এবং আপনার ফেসটা কিন্তু এর ফলে খারাপও হয়ে যেতে পারে. তাই অলওয়েজ চেষ্টা করবেন. যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করা.

0 মন্তব্যসমূহ