যখন আমরা কারোর সাথে কথা বলি তখন সবার প্রথমে চোখ যায় তার মুখের দিকে. আর যদি আপনার গালটা চিপকানো টাইপের হয় তখন আপনি কারো সঙ্গে কথা বললে আপনাকে দেখতে মোটেই attractive লাগে না. অনেকে মনে করে যে আপনি হয়তো ঠিক মতো খেতেই পান না. আবার আপনার বন্ধুরা হয়তো আপনাকে মজা করে, চিপকানো আমের সাথেও কম্পেয়ার করে.
এমনকি আপনার গালভাঙ্গা হয়ে থাকলে আপনি যেমন ড্রেসি পড়ুন না কেন কিংবা যত ভালো স্টাইল করুন না কেন সবসময়ই আপনাকে দেখতে আনস্মার্ট মনে হয়.আপনি কি এমন কাউকে দেখেছেন যে অনেক মোটা. কিন্তু তার গালটা একেবারে চিপকানো. আবার একজন মানুষ যে অনেক রোগা. কিন্তু তার গালটা একেবারে গোলমাটোল টাইপের. নিশ্চয়ই আপনি এমন কোন মানুষকে কখনো দেখতে পাবেন না. কারণ যাদের চেহারা মোটাসোটা হয়. তাদের চেহারার সাথে সাথে গালটাও গোলমাটল হয়ে থাকে.যাদের চেহারাতেই মাংস থাকে না তাদের গালটাও সবসময় চোষা আমের মতন চিপকে থাকে. কিন্তু এছাড়াও একটাইপের মানুষ থাকে যাদের চেহারা এবং গার্ল না তো বেশি ফোলা হয়. আর না তো চিপকানো টাইপের হয়. এদের চেহারা, গাল সবকিছুই একদম পারফেক্ট sape থাকে.আপনি যদি আপনার চেহারাটা এরকমই ব্যালেন্স চেপে রাখতে পারেন তাহলে আপনার ভাঙা চোয়ালের সমস্যাটা চিরকালের জন্য সল্ভ হয়ে যাবে. আর যার জন্য আপনাকে আপনার ডে টু ডে লাইফে কিছু রুলস কে ফলো করতে হবে. যার মধ্যে সবার প্রথমেই আসে.
1. ইট এজ মাচ এস পসিবল.
তো নিজের শরীরকে সঠিকভাবে রাখার জন্য সবার প্রথম নিয়ম হল. আপনাকে প্রত্যেকদিন যতটা সম্ভব বেশি মাত্রায় খাবার খেতে হবে. অনেকে হয়তো এখন বলবে যে ভাই আমি তো প্রচুর পরিমাণ খাবার খাই. কিন্তু তাও কিছুতেই আমার চেহারাটা ঠিক হয় না. বাট আপনার এই ধারণাটা একদমই ভুল. কারণ আপনার হয়তো মনে হয় যে আপনি অনেক বেশি খাবার খান কিন্তু আপনার শরীরকে এনারজেটিক রাখার জন্য ওইটুকু খাবার কিন্তু যথেষ্ট নয়. তাই আপনাকে সঠিক নিয়মে বুঝে শুনেই আপনার প্রতিদিনকার খাবারের হ্যাবিট মেনটেন করতে হবে. আর আপনার এই খাবারের হ্যাবিট শুরু হবে ব্রেকফাস্ট থেকে. তো ব্রেকফাস্ট. অর্থাৎ দিনের প্রথম খাবার আমাদের শরীরের জন্য সবথেকে বেশি ইম্পর্টেন্ট.আর এই সময় আমাদের ডাইজেশন সব থেকে বেশি এক্টিভ থাকে. মানে সকালবেলায় আপনি যত পরিমান খুশি খাবার খেয়ে ফেলুন না কেন খুব সহজেই আপনি সেটাকে ডায়জিস্ট করতে পারবেন. কিন্তু অত পরিমাণ খাবার আপনি কিন্তু দিনের অন্য কোন সময় প্রপারলি ডাইজিস্ট করতে পারবেন না. তাই ব্রেকফাস্টের টাইমে আপনাকে সারাদিনের মধ্যে সবথেকে বেশি খাবার এবং সব থেকে হেলদি খাবার কনজিউম করতে হবে. মানে যদি সহজ কথাই বলি আপনাকে একদম গলা পর্যন্ত খেতে হবে. বা আপনার শরীরের যতটুকু ক্যাপাসিটি তার থেকেও একটু বেশি মাত্রায় খাওয়ার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে. কারণ এই সময় আমাদের শরীরে সবথেকে বেশি খাবারের প্রয়োজন হয়.এই টাইমে আপনি আপনার শরীরে যত খাবারকে পুশ করবেন আপনার শরীর কিন্তু তত খাবারই absorb করতে পারবেন. তার মানে কিন্তু এই নয় যে আপনি সকাল সকাল পরোটার দোকানে গিয়ে পেট পুরে একেবারে পরোটা বা কচুরি খেয়ে আসলেন. তাহলে এতে আপনার শরীরের ভালো হোক বা নাই হোক. খারাপ কিন্তু অবশ্যই হবে. তাই বাইরের খাবারকে অবশ্যই অ্যাভয়েড করুন আর নিজের ঘরে তৈরী হওয়া হেলদি খাবারকেই প্রেফার করুন. সো এবার আসে আমাদের লাঞ্চ. ম্যাক্সিমাম মানুষকেই দেখা যায় যে ব্রেকফাস্টের টাইমে সে যত খাবার খাচ্ছে. তার সেই খাবারের রেকর্ড সে লাঞ্চ টাইমে ভেঙে দেয়. বাট এমনটা করা কিন্তু মোটেই উচিত নয়. আমাদের দিনের সবথেকে হেবি খাওয়ার হবে ব্রেকফাস্ট. আর লাঞ্চ হবে আমাদের সেকেন্ড হেভি খাবার. অর্থাৎ সকালে আপনি যত পরিমাণ খাবার খেয়েছিলেন তার থেকে দুপুরে অলওয়েজ কম খাবারই খেতে হবে. মানে যদি আপনি সকালে পাঁচটা রুটি খেয়ে থাকেন তাহলে দুপুরে আপনাকে তিনটা রুটি খেতে হবে. হ্যাঁ জানি ম্যাক্সিমাম বাঙালিরা ভাত খেতেই পছন্দ করে. বাট এটা আমি জাস্ট একটা এক্সাম্পল এর জন্য বললাম.এবং দিন বাড়ার সাথে সাথে আমাদের বডির ডাইজেশান ক্যাপাসিটি কিন্তু স্লোতে থাকে. তাই আমাদের বডির সাথে তাল মিলিয়ে দিনের সাথে সাথে আমাদের খাবারের পরিমাণকে কম করতে থাকতে হবে. নেক্সট ইম্পর্টেন্ট মিল হল আমাদের ডিনার. কিছু কিছু লোক রাতের বেলায় এত পরিমাণ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে. যেন পরের দিন সে আর ঘুম থেকে উঠবে না.যেটা আমাদের ডে টু ডে লাইফের সব থেকে বড় ভুলগুলির মধ্যে একটা কারণ রাতের বেলায় আমাদের ডাইজেশান সবথেকে বেশি দুর্বল থাকে. আর এই সময় যদি আপনি গলা পর্যন্ত খাবার খান তাহলে সেই খাবারের এফেক্ট. আপনি আপনার শরীরে কখনোই দেখতে পাবেন না. এমনকি এর ফলে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ খিদে পাবে না.সকালে উঠে যদি আপনি ব্রেকফাস্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নাই খেতে পারেন তাহলে তো আপনার সমস্ত কষ্টই বৃথা. এমনকি রাতের বেলায় অত্যাধিক খাবার খাওয়ার ফলে ম্যাক্সিমাম বাঙালিদের শরীরে চর্বি জমতে থাকে. আর তারা যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় তখন তাদের পেট কিন্তু তাদের আগে আগে চলতে থাকে.এই ধরনের মানুষ বিভিন্ন রকম রোগের ওষুধ খেতে খেতেই তাদের বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেয়. তাই রাতে অবশ্যই কম মাত্রায় খাবার কনজিউম করুন. যেটা আপনার বডিকে ফিট রাখবে. এবং আপনার শরীরে চর্বি জমা থেকে আটকাবে.
2. এক্সারসাইজ.
আপনার মুখের সেফকে ঠিক করার জন্য আপনি প্রপারলি খাবার তো মেইনটেইন করছেন. কিন্তু তাও হয়তো এই খাবারের পুষ্টি. আপনার শরীরে সঠিকভাবে লাগবে না. যদি আপনি আপনার শরীরটাকে একটু না খাটান. তাই আপনাকে খাওয়া দাওয়া মেইনটেইন করার সাথে সাথে রেগুলার কিছু এক্সারসাইজও অবশ্যই করতে হবে. না আমি আপনাকে জিমে গিয়ে হেভি এক্সারসাইজ বা ওয়েট লিফটিং করতে বলছি না.আপনার বাড়িতেই প্রত্যেকদিন মাত্র পনেরো থেকে তিরিশ মিনিট যদি আপনি বেসিক কিছু এক্সারসাইজ করতে পারেন তাহলে সেটাই আপনার শরীরকে ফিট রাখার জন্য এনাফ যার জন্য কিন্তু আপনার কোনো রকম ডাম্বেল, বারবেল, বেঞ্চ কিংবা এক্সট্রা কোনোরকম ইকুইপমেন্টের দরকার পড়বে না, এর জন্য আপনাকে প্রত্যেকদিন পুশপ, পুলাপ, এনেস কটস তিনটে এক্সারসাইজ করতে হবে. অ্যাজ পার ইওর বডি ক্যাপাসিটি. এছাড়াও আপনি মাঝে মাঝে রানিং করতে পারেন. সাইক্লিং করতে পারেন. সুইমিং করতে পারেন. কোন কোন দিন হাঁটতে বের হতে পারেন. আবার আপনার পাড়ার মাঠে গিয়ে ফুটবল কিংবা ক্রিকেটও খেলতে পারেন. যেটা আপনার সব থেকে বেশি ইজি বলে মনে হয়. বা যে এক্সারসাই করতে আপনি সব থেকে ভালো feel করছেন সেটাই করুন. মানে সহজ কথায় বললে আপনাকে প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু ফিজিক্যাল activity তে involve হতেই হবে. তবেই আপনার বডি ধীরে ধীরে ফিট দেখাতে শুরু করবে. আর আপনি এই অ্যাক্টিভিটি গুলিকে অল্টারনেট ভাবেও করতে পারেন. কারণ মানুষ প্রত্যেকদিন একই রকম স্টেপ নিতে নিতে তারাতারি boat হয়ে যায়. কিন্তু যদি আপনি activity গুলি alternatively করতে থাকেন তাহলে আপনি কোন রকম bore feel না করে আপনার ফিটনেস গোলটিকে অ্যাচিভ করতে পারবেন.
3. প্রপার স্লিপিং.
আপনি যতই খাবার খেয়ে ফেলুন না কেন,যত হেভি এক্সারসাইজ করে ফেলুন না কেন এই দুটো স্টেপ আপনার কোনো রকমই কাজে লাগবে না যদি আপনি প্রত্যেকদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমান তো কারণ যদি আপনি আপনার শরীরকে আপনার বোনকে স্ট্রেসে রাখেন আর পর্যাপ্ত পরিমান রেস্ট না নেন তাহলে আপনার ডাইজেশন এমনিতেই খারাপ হতে শুরু করবে আর তারপর আপনার কোনোরকম এক্সারসাইজ,ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি করতেও মোটেই ইচ্ছা করবে না. আর তাছাড়াও আপনি যদি আপনার লাইফ থেকে stress দূর করতে চান এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে অনেক বেশি এনার্জি ফিল করতে চান তাহলে আপনি অস্বগন্ধা ইউজ করতে পারেন. যেটা আপনার এক্সট্রেস কে দূর করে ডে টু ডে লাইফকে এক্টিভ করে তুলতে অনেক বেশি হেল্প করবে.আপনি আপনার খাবার habit properly maintain করতে শুরু করেছেন. Daily exercise করতে শুরু করেছেন. এমনকি daily প্রপার রেস্টও নিচ্ছেন. যে স্টেপগুলিকে ফলো করতে থাকলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই আপনার শরীরে পজিটিভ চেঞ্জেস নোটিশ করতে শুরু করবেন. কিন্তু এর পরেও হয়তো কিছু কিছু মানুষের চেহারায় কোনো রকম উন্নতি আসবে না. আর এর সব থেকে বড় কারণ হলো
4. ওয়াটার কনজিউমিং হ্যাবিট.
আপনি যতই হেলদি খাবার খান না কেন যদি আপনি সঠিকভাবে জল পান করতে না জানেন. তাহলে প্রচুর পরিমাণ হেলদি খাবার খাওয়ার পরেও আপনার পাচনতন্ত্রে বিভিন্ন রকমের প্রবলেম দেখা দিতে পারে যার কারণেই হয়তো কোনো খাবার আপনার শরীরে লাগে না তাই আপনাকে অবশ্যই প্রত্যেকদিন তিন থেকে চার লিটার জল পান করতেই হবে বাট আপনি সারাদিনে চার লিটার জল কখন কিভাবে পান করলে সেটা আপনার শরীরে কোনোরকম ক্ষতি না করে একদম সঠিকভাবে অ্যাবজর্ভ হবে এবং আপনার শরীরের ফিটনেসকে বাড়িয়ে তুলতে সবথেকে বেশি হেল্প করবে তা অন্য আর্টিকেল এ বলা হবে.

0 মন্তব্যসমূহ