আপনারা যারা যারা একদিনও পিচকারি নাড়ানো ছেড়ে থাকতেই পারেন না. তাঁরা যদি এই নোংরা শক্তি থেকে বাইরে বেরোনোর জন্য হঠাৎ করে এই নাড়ানোর অভ্যাসকে বন্ধ করে দেন. তাহলে আপনার সাথে কি কি ঘটতে পারে? সেটা কি আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন? আপনি একটা না কতদিন এই সমস্ত কাজ না করলে পুনরায় আপনার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন.
আর যদি আপনি কিছুতেই এই নোংরা অভ্যাসটিকে ছাড়তে পারছেন না তাহলে কতদিন পর পর বা কিভাবে ধীরে ধীরে কন্ট্রোলে আনার চেষ্টা করলে আপনার শরীরে এর কোনো এফেক্ট পড়বে না সেই টপিকএই আজকে আমরা আলোচনা করবো যে বিষয়টি আপনারা যারা এই নোংরা অভ্যাসে জড়িয়ে আছেন তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ.তো যখন আপনি হস্তমৈথুন করেন তখন আপনার শরীরের ভেতর অসংখ্য হরমোন ক্ষরিত হয়. এমনকি আপনার শরীর থেকে ওই সময় প্রায় দুই থেকে পাঁচ এমেল বীর্য বাইরে বেরিয়ে যায়. আর এভাবেই প্রত্যেকদিন শরীরের সবথেকে ভাইটাল ফ্লুইড বাইরে ফেলে নষ্ট করতে করতে. আপনার বীর্যর কোয়ালিটি এবং কোয়ান্টিটি কম হতে শুরু করে. আপনি যখন আপনার শরীরে দুর্বলতা এবং নানা রকম সাইড এফেক্ট ফিল করতে শুরু করেন. আপনার সারাক্ষণ ঘুম ঘুম পায়. কোন কাজেই মন বসে না. এমনকি খাবারও ঠিক মতো হজম হয় না. অনেক খাবার খেও. তখন আপনি শরীরে জোর পান না. আর এমনটা হওয়ার কারণ হল. আপনি আপনার শরীরের ক্যাপাসিটির থেকে বেশি বীর্য প্রত্যেকদিন ক্ষয় করতে শুরু করেছেন. অর্থাৎ পিচকারি ওভার ইউজ করে. যে পরিমাণ বীর্য আপনি প্রত্যেকদিন নষ্ট করছেন আপনার শরীর আপনার জন্য কিন্তু সেই পরিমাণ বীর্য প্রডিউসই করতে পারছে না. আর এই প্রবলেমের জন্যই কিন্তু অনেক পুরুষকে. বিবাহের পর বাবা হওয়ার থেকে বঞ্চিত হতে হয়.হস্তমৈথুন এমন একটা জিনিস যেটা আপনাকে একেবারে আলাদা জগতে নিয়ে যায়. যেখানে আপনি একেবারেই অন্যরকম একটা ফিলিং পান. এভাবেই হস্তমৈথুন করতে করতে. দিন দিন এটা আপনার এমন একটা বদভ্যাসে পরিণত হয়. যে আপনি তখন চাইলেও এটাকে আর বাদ দিতে পারেন না. কিন্তু এই বাজে অভ্যাসের ফলে যে শুধু আপনার বিদ্রয় নষ্ট হচ্ছে বা বীর্যের ক্ষতি হচ্ছে তা কিন্তু নয়. এছাড়াও এই নোংরা অভ্যাসের ফলে আপনার প্রচুর শক্তির ক্ষয় হয়. অনেকে এমনও প্রশ্ন করে থাকে যে হস্তমৈথুন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর. আর এটা কি তাহলে একেবারেই আমি করতে পারবো না. যদি আমি একদমই না করে থাকতে না পারি তাহলে কতবার করলে এটা আমার শরীরের জন্য সেফ হবে. সো বিজ্ঞান বলে যে কোন কিছুই অতিরিক্ত মাত্রায় ভালো না. আর তার মধ্যে হস্তমৈথুন একটি. সাইন্সের মতে যদি আপনি নিজের শরীরের চাহিদা ও ক্যাপাসিটি অনুযায়ী লিমিটে থেকে হস্তমৈথুন করেন. তাহলে এটা আপনার শরীরে তেমন কোন ইফেক্ট ফেলে না.হ্যাঁ, বিজ্ঞান তো বিজ্ঞানের জায়গায় একেবারেই ঠিক. কিন্তু আপনি নিজেই একবার ভেবে দেখুন তো, আদৌ কি কোনো মানুষ? একবার হস্তমৈথুন শুরু করার পর কন্ট্রোলে রেখে সেটাকে করতে পারে. যদি সবাই এমন কন্ট্রোলে থেকে এসব করতে পারতো. তাহলে তো আজ আমার এই আর্টিকেলটি তৈরি করার কোন প্রয়োজনই পড়তো না. ঠিক যেমন একজন স্মোকার প্রথমে মনে করে যে না আমি তো মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে সিগারেট খাই. তার কিছু মাস পর ধীরে ধীরে সেটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়. আর তখন সে প্রত্যেকদিন সিগারেট খাওয়া শুরু করে. আর এভাবেই একটা টাইম পর গিয়ে তার এটাই খেয়াল থাকে না. যে আজ সে সারাদিনে কটা সিগারেট খেয়ে ফেলেছে. এন্ড এভাবেই ধীরে ধীরে একজন স্মোকারের জন্ম হয়. তখন সে চাইলেও তার ওই খারাপ অভ্যাস টাকে ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না. ঠিক একইভাবে এই হস্তমৈথুন এ এমন একটা সাংঘাতিক নেশা যেটা কন্ট্রোল করা বা কন্ট্রোলে থেকে করা কখনই পসিবল হয়ে ওঠে না. তাই আপনি যদি ভুল করেও কন্ট্রোলে থেকে এটা করার চেষ্টা করেন. তাহলে তাতে আপনার তেমন কোনো লাভই হবে না. কারণ মাত্র দুদিন কন্ট্রোলে থাকার পর আপনি হইতো আরো দু গুণ বেশি এই নেশাক্ত হয়ে পড়বেন. তাই আপনি যদি অলরেডি এই নেশায় আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে ভাই অনেক হয়েছে. নিজের জীবনকে শেষ করে দেওয়ার আগেই বাইরে বেরিয়ে আসুন. আর যে সমস্ত ছোট ভাইয়েরা আর্টিকেলটি পড়ছেন তাদেরকে বলবো যে যেসব লোকেরা এই নেশায় আসক্ত হয়ে আজ আফসোস করছে তাদের থেকে শিক্ষা নাও. আর ভুল করেও এই নেশাকে নিজের জীবনে প্রবেশ করতে দিও না. And এর পরেও অনেক ভাইয়েরা হয়তো জিজ্ঞাসা করবে যে সপ্তাহে বা মাসে কতবার হস্তমৈথুন করলে সেটা আমার শরীরের জন্য সেফ হবে. তো এটা সম্পূর্ণ ডিপেন্ড করে আপনার শরীরের ক্যাপাসিটির ওপর. যদি আপনার শরীর অনেক বেশি শক্তিশালী হয়. আপনি যদি রেগুলার ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি করেন এবং হেলদি খাবার কনজিউম করে থাকেন. তাহলে প্রত্যেকদিন এই নোংরা কাজটি করার পরেও হয়তো আপনি সাইড এফেক্ট. আপনার শরীরে ফিলই করতে পারবেন না. কিন্তু আপনার শরীর যদি একেবারে রোগাপাতলা হয়ে থাকেশরীরে এনার্জি ঘাটতি থাকে. যদি আপনি কোনরকম ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি না করেন. আপনার ডায়েট যদি একেবারেই খারাপ হয়ে থাকে. তাহলে মাত্র সপ্তাহে একবার করাটাও কিন্তু আপনার শরীরের জন্য ভারী পড়তে পারে. কিন্তু যদি আপনি আপনার উইল পাওয়ারের সাহায্যে এই সমস্ত খারাপ নেশা থেকে দূরে থাকেন.তাহলে আপনার শরীরে একটা সুন্দর সুগঠিত রূপ ফেরত আসবে. আপনি অনেক বেশি attractive ওই স্মার্ট হয়ে উঠতে শুরু করবেন. যার ফলে আপনার সেলফ কনফিডেন্স বা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে. আর আপনি আপনার লাইফের প্রত্যেক ফিল্ডে সবার থেকে সেরা এবং ইউনিক মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন.এই কারণেই সমস্ত জ্ঞানী ব্যক্তিরা হস্তমৈথুনের আসক্তিকে একটি ভয়ঙ্কর রোগের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন. তাই আজ এই মুহূর্তেই আপনার এই নোংরা অভ্যাসকে ছেড়ে সুন্দর একটি লাইফ গঠন করার সিদ্ধান্ত নিন. আর সম্পূর্ণ উইল পাওয়ারের সাথে নো পিমো পালন করতে শুরু করুন. যেটা নিঃসন্দেহে আপনার জীবনে একটি পজিটিভ চান্স নিয়ে আসবে.

0 মন্তব্যসমূহ