আপনাদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মানুষের মনে অনেক রকম প্রশ্ন রয়েছে. যেমন এই ব্রহ্মচার্য পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্তই কেন? একজন নতুন ব্যক্তি. কিভাবে ব্রহ্মচার্যের পালন করতে পারে? ব্রহ্মচার্যের এমন কি কোন টিপস রয়েছে যা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত. আর এই জার্নিতে এমন কি কোন কাজ রয়েছে যা আমাদের কখনই করা উচিত নয়. তো আমি আপনাদেরকে বলবো যে আয়ুর্বেদ মনে করে বর্তমান সময়ের মানুষ প্রায় একশো তেরো বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে. আর মানুষের একশো বছরের এই আয়ুকে প্রধানত চারটি বাগে বিভক্ত করা হয়েছে যা পঁচিশ বছর করে প্রথমবার ব্রহ্মচার্য দ্বিতীয় ভাগ গার্হস্থ্য, তৃতীয় ভাগ বানপ্রস্থ এবং চতুর্থভাগ সন্ন্যাসী হিসাবে বিন্যাস করা হয়েছে. শৈশব বা কিশোর অবস্থায় একজন ব্যক্তি গুরুকুল বা ইস্কুলের শিক্ষা গ্রহণ করে. যুবক অবস্থায় সে গৃহে তার কর্তব্য পালন করে. আর পরবর্তীতে ব্যক্তি ভৌতিক বস্তু আর মোহমায়া ত্যাগ করে সমাজ ও ধর্মের জন্য কাজ করে. আর বান প্রস্থের অর্থ এটাও যে মানুষ গৃহে থেকেই ব্রহ্মচার্য পালন করে সঠিক নিয়ম কানুন পালনের মাধ্যমে শিশুদেরকেও বিদ্যা দান করবে. আর ধীরে ধীরে নিজের দায়িত্ব ছেলের উপর দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য. বা বৃদ্ধ অবস্থায় সন্ন্যাসীর মতো সবকিছু ত্যাগ করে. সন্ন্যাসীর জীবনযাপন করার জন্য প্রস্তুত হবে. আর পঁচিশ বছর ধরে এই কারণেই ব্রহ্মচার্য পালন করা হয়ে থাকে. কারণ জ্ঞান গ্রহণ করার উপযুক্ত সময় হলো আমাদের জীবনের প্রথম ভাগ. যেটা আমাদের জীবনের শুরুর পঁচিশ বছর হয়ে থাকে. যে সময় একজন ব্যক্তি পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করে. এবং একজন সফল ব্যক্তি হয়ে উঠতে চায়. আর এই কারণেই আমাদের প্রত্যেক জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর অবশ্যই ব্রহ্মচার্যের পালন করা উচিত. এছাড়াও একজন মানুষের শারীরিক গ্রোথ হয়. এই পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্তই. এই ব্রহ্মচার্যকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে. প্রথম ভাগ হল অখণ্ড ব্রহ্মচার্য. আর দ্বিতীয় ভাগ হল. গার্হস্থ্য ব্রহ্মচার্য যদি কোন ব্যক্তি বিয়ে না করে, নিজের বংশকে এগিয়ে না নিয়ে যেতে চায়. আর সারা জীবন ধরে ব্রহ্মচার্য পালন করতে থাকে. তাহলে তাকে অখন্ড ব্রহ্মচার্য বলা হয়. আর যে ব্যক্তি শুধুমাত্র পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্তই ব্রহ্মচার্যের পালন করতে চায়. যে শুধুমাত্র জ্ঞান লাভ করার জন্যই ব্রহ্মচার্যের পালন করে থাকে. তাকে গার্হস্থ্য ব্রহ্মচার বলা হয়. এবং একজন সম্পূর্ণ নতুন মানুষ কিভাবে ব্রহ্মচর্চার জার্নি শুরু করতে পারে. সেটা জানানোর আগে আপনাদেরকে কিছু most important কথা বলতে চাইবো. যে একজন ব্যক্তির জীবন. সাধারণত তিনটি জিনিসের উপর টিকে থাকে. প্রথমত আহার দ্বিতীয়ত নিদ্রা এবং তৃতীয়ত ব্রহ্মচার্য. আর এটা জেনে আমি খুব খুশি যে বর্তমানে যুবকেরা ব্রহ্মচার্যের পালন করতে চায়. কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এটাই যে আপনাদের কাছে এই ব্রহ্মচার্য পালন করাটা অনেক বেশি সমস্যার মনে হয়.শাস্ত্রমতে আপনাকে ব্রম্ভমূর্তে ওঠার অভ্যাস করতে হবে. তাহলেই আপনি ব্রহ্মচার্যের পালন করতে পারবেন. এই ব্রহ্ম মুহূর্ত সূর্য ওঠার এক থেকে দুঘণ্টার আগের মুহূর্তকে বলা হয়. আর আপনার সব সময় এই ব্রহ্ম মুহূর্তে ওঠা উচিত. কারণ এই সময় আকাশ একেবারে পরিষ্কার থাকে আর পরিবেশ নির্মল থাকে. এমনকি এই সময় মলমূত্রের ব্যাগও বেশি থাকে. আর যে মানুষ এই ব্যাগকে আটকে রাখে. তার শরীর গরম হয়. আর শরীরে জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়. এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য সম্ভাবনাও বেশি থাকে. আর আপনি হয়তো এটা জেনেও অবাক হবেন. যে শরীর গরম হওয়ার ফলেই,স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়. ব্রম্ভ মুহূর্তে ওঠার আরো একটা বড় লাভ হলো. আপনার শরীরে নাইন্টি-নাইন পার্সেন্ট কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবলেম একেবারে দূর হয়ে যায়. বা আপনি বলতে পারেন যে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না. তাই আপনাকে ব্রম্ভ মুহূর্তে. অবশ্যই উঠতে হবে আর এই সময় উঠে কোন ভারী কাজ বা ব্যাম করতে হবে. অথবা আপনি জিম ও করতে পারেন. আপনি এখন হয়তো ভাবছেন যে এতে কি কোন কিছু লাভ হবে? কিন্তু আমি আপনাদেরকে বলবো যে ব্যক্তি সকালে উঠে নিজের ভেতর বীর্যকে একত্রিত করে রাখতে পারে. সেই ব্যক্তি ব্রহ্মচার্যের পালন সঠিকভাবে করতে পারে.সকাল সকাল উঠে সূর্য প্রণামও করতে পারেন. যাতে আপনার মনে অনেক বেশি শান্তি আসবে. আর আপনার মন এই পৃথিবীর ফালতু সমস্ত অশ্লীল বস্তু. আর স্ত্রীদের শরীর থেকে তখন একেবারে দূরে থাকবে. যদি আপনি ব্রহ্মচার্যের পালন করেন তাহলে কখনোই আপনার বোনে স্ত্রীর সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করা উচিত নয়. খারাপ নোংরা জিনিস দেখাও উচিত নয়. কারণ এতে আপনার ব্রহ্মচার্য নষ্ট হতে পারে. আপনাদের ভেতর অনেক মানুষ এটাও বলেন যে আমার তো স্বপ্নদোষ হয়ে যায়. এদিকে তাহলে আমার ব্রহ্মচার্য নষ্ট হয়ে যাবে. তাহলে ভাই আমি আপনাদেরকে বলবো যে স্বপ্ন দোষ হওয়ার কারণে ব্রহ্মচার্য কখনোই নষ্ট হয়ে যায় না.স্বপ্নদোষ তখনি হয়. যখন আপনি হস্তমৈথুন করতে করতে সেটা হঠাৎ করে ছেড়ে দেন. স্বপ্নদোষ হওয়ার প্রধান কারণ হলো আপনার মনের ভেতর স্ত্রীদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে চলতে থাকা সমস্ত চিন্তা ভাবনা. তাই আপনাকে আপনার ব্রেন থেকে এই সমস্ত চিন্তা ভাবনা একেবারে দূরে সরাতে হবে.আর এই সমস্ত চিন্তা ভাবনা গুলিকে ভুলতে গেলে আপনাকে ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে সূর্য নমস্কার এবং খাটনির কাজ করতে হবে. যেটা আমি আপনাদেরকে আগেই বললাম. আর এগুলো করার ফলে আপনার ব্রেন থেকে সমস্ত নোংরা চিন্তা ভাবনা একেবারে দূরে সরে যাবে. আর এখন আমি আপনাদেরকে ব্রহ্মচার্য পালন করার কিছু প্রধান নিয়ম সম্বন্ধ বলতে চলেছি. যেগুলোকে মন দিয়ে শুনলে আপনি অবশ্যই আপনার ব্রহ্মচার্যের জার্নিতে সফল হতে পারবেন. আর যদি আপনি নতুন নতুন ব্রহ্মচার্য পালন করা শুরু করেন. তাহলে আপনার কখনোই একা থাকা উচিত নয়. অর্থাৎ যা কিছুই হয়ে যাক না কেন আপনার এই একা থাকা একেবারে বন্ধ করতেই হবে. কারণ এই একা থাকার মুহূর্তগুলিই হল সেই সময় যখন আপনি অশ্লীল জিনিস দেখে ব্রহ্মচর্যকে নষ্ট করে ফেলেন. তাই আপনাকে সবসময় আপনার ফ্যামিলি বা আপনার ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকতে হবে এবং যতটা সম্ভব নিজের কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে. আর সব থেকে ভালো হয়. যদি আপনি মোবাইল ফোন থেকে একটু দূরে থাকতে পারেন. কিন্তু যদি আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে একেবারেই দূরে থাকতে না পারেন. তাহলে ঘুমানোর আগে আপনার কিছু ভালো জিনিস দেখা উচিত. আর ভুলেও আজকালকার বলিউডের গান দেখতে যাবেন না. কারণ আপনারা অবশ্যই জানেন যে সব থেকে বেশি বর্তমানে ব্রম্ভচার্য নষ্ট হয়. বলিউডের এই সমস্ত নোংরা গানের কারণে. তাই এর বদলে আপনি ঘুমানোর আগে কোন ভালো কিছু দেখে ঘুমান. এমনকি বর্তমানে সমস্ত যুবক-যুবতীদের একটা বড় প্রবলেম হল তারা সোশ্যাল মিডিয়তে কোন ভালো জিনিসই দেখতে যায় কিন্তু এই নোংরা সোশ্যাল মিডিয় তাদেরকে সমস্ত নোংরা জিনিস জোর করে দেখেই ফেলে. আর তখন আজকালকার যুবক যুবতীরা সেই সমস্ত নোংরা জিনিস দেখে থাকতে না পেরে নিজেদের বাসনাকে চরিতার্থ করার জন্য হস্তমৈথুন করেই ফেলে. যেটা তাদের শরীরের জন্য ভীষণ খারাপ এবং ক্ষতিকারক. আর যা আপনাকে একদিন নিঃশ্বাস করে দেবে. বাট যদি কখনো আপনার শরীরে হঠাৎ উত্তেজনা বেড়ে যায় তাহলে আপনি আদার ব্যবহার করতে পারেন. আপনি এক কুচি আদা নিয়ে আস্তে আস্তে চিবিয়ে. তাঁর রস পান করতে পারেন. তাহলেই দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার সেই বাসনা শিথিল হয়ে যাবে. হ্যাঁ আমি জানি যে আপনাদের মধ্যে অনেককেই অনেক রকম বিপদ বা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়. যখন আপনারা ব্রহ্মচর্চার পথে হাঁটা শুরু করেন তখন কিন্তু আপনাকে সবসময় এটা মাথায় রাখতে হবে. যে ব্রহ্মচার্যের পালন আপনি শুধুমাত্র আপনার নিজের লাভের জন্যই করছেন. ব্রহ্মচার্যের মানে শুধুমাত্র নিজের বীর্যকে রক্ষা করাই নয়. ব্রহ্মচরের মানে হলো আপনি পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত আপনার বীর্যকে রক্ষা করছেন. আর মদ, মাংস এসব থেকে দূরে থাকছেন. আর কোন রকম স্ত্রী লোকের অঙ্গ সম্পর্কে কখনো বাজে চিন্তা ভাবনা করছেন না. আর এভাবেই সবশেষে পরম আত্মার সাথে মিলিত হওয়াকে ব্রহ্মচার্য বলে. কিন্তু যদি আপনি আপনার ব্রহ্মচার্যের এই জার্নিতে বারংবার ফেল হতে থাকছেন তাহলে আমি আপনাদেরকে ব্রহ্মচার্য পালনের একটা সহজ উপায় সম্পর্কে বলতে চাইবো. যা আপনি আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে ফেলবে বাকি সব দেখবেন automatically বদলে যাবে. আর আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি যে মানুষ যদি চায় তাহলে উলঙ্গ একজন স্ত্রী লোককেও ভালো এবং সংস্কারের চোখে দেখতে পারে. আবার মানুষ যদি চায় তাহলে সেই সংস্কারীয় পোশাক পরিধান করা স্ত্রী লোককেও উলঙ্গ করে দেখতে পারে. সবই তার দৃষ্টিভঙ্গির খেলা. তাই যদি আপনি নিজের দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে ফেলেন তাহলে পৃথিবীর এমন কোন শক্তি নেই যা আপনাকে ব্রহ্মচার্যের পালন করা থেকে আটকাতে পারে. তাই আজ এই মুহূর্ত থেকেই আপনার ব্রহ্মচর্চার জার্নি স্টার্ট করুন.
0 মন্তব্যসমূহ