বীর্য মানুষের শরীরের সবথেকে মূল্যবান জিনিস. আমাদের শরীরের মানসিক, শারীরিক ও বুদ্ধির বিকাশের সম্পর্ক বীর্যর সাথে সমানুপাতিক. এই কথাগুলো আপনাদের মধ্যে সবাই প্রায় জানেন.
কিন্তু আপনি বারংবার চেষ্টা করেও আপনার শরীরের এই ইম্পরট্যান্ট ফ্লুইটকে. কিছুতেই শরীরের ভেতর ধরে রাখতে পারছেন না. হয় নোংরা ভিডিও দেখার ফলে. কিংবা বারংবার স্বপ্নদোষের মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে বারংবার বীর্যপাত ঘটছে. তাই আপনি চাইছেন যেকোনো ভাবেই হোক. এই প্রবলেম থেকে মুক্তি পেতে. এই বীর্যকে রক্ষা করতে গেলে বীর্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা জরুরি. পুরুষের শরীরে যাকে বীর্য বলে. মহিলার শরীরে তাকে রজ বলে. প্রাচীন ঋষিরা এই বীর্যকে শরীরের মূল্যবান ধাতু বলে বর্ণনা করেছেন. আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে বীর্যতে প্রচুর পরিমান সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক থাকে. যা আমাদের শরীরে এনার্জি ব্যালেন্স বজায় রাখে.সাইট্রিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকের সেল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে. যা অল্প বয়সে আমাদের বৃদ্ধ হওয়া থেকে বাঁচায়. ত্বককে সতেজ রাখে. অ্যামিনো অ্যাসিড আমাদের শরীরের ম্যাসেজ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে. মানে অ্যামিনো অ্যাসিড. আমাদের শরীরকে বলিষ্ট করে তোলে. আর এর অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে. ফসফরাস হলো আমাদের মস্তিষ্কের প্রধান খাদ্য.একমাত্র বীর্যের মধ্যে অধিক পরিমান সঞ্চিত থাকে. ব্রেনকে শার ও ইন্টেলিজেন্ট বানাতে হলে এই ফসফরাসের বিশেষ প্রয়োজন হয়ে থাকে. পটাশিয়াম আমাদের শরীরকে উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট প্রবলেম, কিডনি প্রবলেম, স্ট্রোক, মানসিক অবসাদ, হাইপার টেনশন থেকে রক্ষা করে. কিন্তু এর অভাবে শরীরের এই সকল রোগ বাসা বাঁধতে থাকে. জিঙ্ক আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে. যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়. এবং বীর্যের ভেতর থাকা অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস. মানব শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে. এমনকি লিভারের প্রব্লেম থেকেও রক্ষা করে. তো এই বীর্য আমাদের শরীরের জন্য কত বেশি ইম্পর্টেন্ট সেটা নিশ্চয়ই আপনি বুঝতেই পারছেন. আর আমাদের শরীরে এই বীর্য তৈরি হয়. একটি দীর্ঘ সময় ব্যাপী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে. আর এই অদ্ভুত জ্ঞান সর্বপ্রথম পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসেন. মহান চিকিৎসক সুশ্রু. তিনি বলেছিলেন আমাদের শরীরে খাবার হজম হবার পর তা থেকে রস তৈরি হয়. এই রস হজম হয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে রক্ত তৈরী হয়. এইভাবে পাঁচ পাঁচদিনের ব্যবধানে রক্ত থেকে মাংস. মাংস থেকে মেদ, মেদ থেকে হাড়. হাড় থেকে মজ্জা এবং মজ্জা থেকে একদম শেষ প্রক্রিয়ায় বীর্য উৎপন্ন হয়. এবং এই একই পদ্ধতিতেই মেয়েদের শরীরে রোজ উৎপন্ন হয়. অর্থাৎ খাবার থেকে সম্পূর্ণ বীর্য্য তৈরি করতে,তিরিশ দিন সময় লেগে যায়. আর বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান ও রিসার্চে প্রমাণ করেছে যে বত্রিশ কিলো খাবার থেকে মাত্র আটশো গ্রাম রক্ত তৈরি হয়. আর ওই আটশো গ্রাম রক্ত থেকে মাত্র কুড়ি গ্রাম বীর্য উৎপন্ন হয়. একজন সুস্থ মানুষ প্রত্যেক দিন আটশো গ্রাম করে খাবার খেলে চল্লিশ দিনে তার বত্রিশ কিলো খাবার খাওয়া সম্পন্ন হয়. আর এই বত্রিশ কিলো খাবার থেকে আটশো গ্রাম রক্ত এবং তার থেকেই মাত্র কুড়ি গ্রাম বীর্য তৈরি হয়. অর্থাৎ মাত্র কুড়িগ্রাম বীর্য তৈরি করতে আমাদের এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যায়. কিন্তু এখন আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমরা আমাদের শরীরের এই ভাইটাল জিনিসকে দিনের পর দিন হস্তমৈথুন করে নষ্ট করে ফেলি. এই বীর্য তৈরি হওয়ার পদ্ধতি আমাদের শরীরে অটোমেটিক চলতেই থাকে. তাই আমরা বীর্যের ঘাটতি তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারি না. ক্রমাগত মৈথনে আমাদের শরীরে যে বিপুল ঘাটতি সৃষ্টি হয়. তা বুঝতে হয়. আমাদের বহু বছর সময় লেগে যায়. কিন্তু তখনও আমাদের আর কিছুই করার থাকে না. যা কিছু ক্ষতি হওয়া সম্ভব তা তো হয়েই যায়. সুতরাং বীর্যের এক একটা বিন্দুর মধ্যে বিশাল পরিমান শক্তি লুকিয়ে আছে. এই বীর্যের এক একটা বিন্দুতে বড় বড় বীর, মহাপুরুষ, সায়েন্টিস্ট, সাহিত্যিক, সন্ন্যাসী, প্রভৃতি তৈরি হয়েছে. এমনকি আমি, আপনি, আমরা সকলেই বীর্যের এক একটা কোনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছি.আর একইভাবে ভবিষ্যতেও কত বড় বড় মহারথী তৈরি হবে তা আমাদের কল্পনারও বাইরে. আর এটা একটা চিরন্তন সত্য. যাকে কখনোই কেউ অস্বীকার করতে পারবে না. প্রাচীনকালের মুনিঋষিরা বীর্যকে সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে কাজে লাগাতে বলেছেন. তাদের মতে বীর্য শুধু সন্তান উৎপন্ন করার জন্যই ব্যবহার করা উচিত. তাছাড়া অন্য কোন রকম শারীরিক ভোগের জন্য বীর্যকে ক্ষয় করা উচিত নয়. কারণ শারীরিক সুখ কখনোই একজন মানুষকে মানসিক শান্তি দিতে পারে না. এটা খেয়াল করে দেখবেন যে বীর্য নাশকরা বা মৈথুন করার আগে আপনার নিজেকে সিংহের মতো শক্তিশালী মনে হয়.একবার বির্যবাহের পর মানুষ ভেজা বেড়ালের মতো হয়ে যায়. আর এই একই রকম অনুভব পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের সাথে বীর্যকর করার পরই হয়ে থাকে. তাহলে এতো কিছু জানার পর বাস্তবকে ফেস করার পরেও কেন আমরা এই ভুল কাজটা বারবার করবো. তাই নেক্সট টাইম এই নোংরা ভাবনাটি আপনার মাথায় আসলে নিজের কাছে. এই প্রশ্নটা অবশ্যই একবার করে দেখুন. তাহলেই আপনি তখন ইন্সট্যান্টলি ওই সিচুয়েশন থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসতে পারবেন. আর আপনার নোংরা ভিডিও দেখার ইচ্ছা কিংবা পিচকারী নাড়ানোর ইচ্ছা একেবারেই মাথা থেকে বাইরে বেরিয়ে যাবে. আর একটা কথা সবসময় মনে রাখা দরকার যে বীর্যের গতি যদি নিচের দিকে হয়. তাহলে মইথুন ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকে না.আর বীর্যের গতি যদি ওপরের দিকে হয় তাহলে মহাপুরুষদের মতই মানুষ মহা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে. অর্থাৎ ব্রহ্মচার্য পালনের প্রধান উদ্দেশ্যই হল বীর্যকে রক্ষা করা এবং বীর্যের প্রতি ঊর্ধ্বমুখী করা. হ্যাঁ এখন আপনি হয়তো ভাবছেন যে এই বীর্যকে আবার ঊর্ধ্বমুখী কিভাবে করবো.বীর্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা সম্ভব. যেটা সম্পূর্ণই একটা আলাদা টপিক. বাট এখন শুধু এটুকুই বলবো যে এই বীর্যের শক্তি আসলে কতটা. তা কোন সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না. তাই আপনি যদি প্রত্যেকদিন বারংবার এই নোংরা নেশার মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে নিজের শরীরের সবথেকে ভাইটাল ফ্লুইড বীর্য কে বারংবার নষ্ট করে ফেলছেন তাহলে আজ থেকেই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন আর নিজের শরীর এবং মনের সমস্ত শক্তি আপনার জীবনের ইম্পর্টেন্ট গোল্ড গুলোকে পূরণ করার জন্য ব্যয় করুন যেটা আপনার লাইফের গ্রো তেও অনেক বেশি হেল্প করবে. And আপনার লাইফ এ সমস্ত ড্রিম গুলিকে fulfill করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে.

0 মন্তব্যসমূহ