পুরুষ শক্তি বাড়ানোর উপায়|Increase your body Strength without Investing Money

 সুন্দর চেহারা ও শারীরিক গঠন নিয়ে. আমরা সবাই প্রায় দুশ্চিন্তায় থাকি. কিন্তু আপনি কি জানেন যে সুন্দর চেহারা পুরুষত্ব এবং যৌন শক্তি বাড়ানোর পেছনে মূলত একটা হরমোনের হাত থাকে. যার নাম হল টেস্টওস্টেরন. এই হরমোনটি আমাদের চেহারা সুন্দর করার সাথে সাথে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করা. এবং শরীরকে বলবান করে তুলতেও সাহায্য করে. তাই আজকে আমরা এটাই আলোচনা করবো যে কোনো রকম মানি ইনভেস্ট না করে বা কোনো ওষুধ বা ক্যাপসুল না খেয়ে ন্যাচারালি কিভাবে এই টেস্টওস্টেরন হরমোন বা পুরুষ হরমোনকে বাড়ানো সম্ভব. তো সাধারণত একজন পুরুষের শরীরে তিনশো থেকে এক হাজার ন্যানোগ্রাম পার ডেসলেটার পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো যে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে সঠিক পরিমান টেস্ট ও স্ট্রং হরমোন আছে কিনা তো এটা বোঝার জন্য বেস্ট উপায় হলো আপনার শরীরে যদিটেস্টোস্টেরন মাত্রা কম থাকে তাহলে আপনি ডে টু ডে লাইফে. কিছু নেগেটিভ লক্ষণকে ফিল করতে পারবেন. যেগুলো হলো আপনার সব বিষয়ে বিরক্তি লাগবে. ঘুমাতে অসুবিধা হবে. অর্থাৎ আপনি রাতের বেলা. কিছুতেই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারবেন না. দুর্বলতার কারণে আপনার মাথা চক্কর দেওয়া শুরু করবে. শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি দেখা দেবে. আপনার মাথার চুল ঝরে যেতে শুরু করবে. হঠাৎই অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া শুরু হবে. কিংবা পেটে মেদ জমে ভুঁড়ি বাড়তে থাকবে. আপনার মধ্যে মেয়েদের মতন আচরণ দেখা দেবে. আপনার কনফিডেন্স লেভেল. দিন দিন কম হতে থাকবে. আপনার মনে যৌনতার. কোন রকম ইচ্ছা আসবে না. নিজের আত্মবিশ্বাস দিন দিন কমতে থাকবে. এমনকি আপনার পুরুষ অঙ্ক নিস্তেজ হয়ে যেতে শুরু করবে. আর যদি এই ধরনের লক্ষণগুলি আপনার শরীরে দেখা দেয় তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন ঘাটতি রয়েছে. শরীরের বিভিন্ন কারণে টেস্টোস্ট্রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে অন্যতম কারণ হলো অতিরিক্ত মৈথুনের মাধ্যমে বীর্যনাস করা. লাইফ অতিরিক্ত স্ট্রেস. বাজে খাবারের habit, নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা. এমনকি আপনার ডে টু ডে লাইফে এক্টিভিটি অনেক কম হয়ে থাকলেও টেস্টোস্ট্রনের মাত্রা কমে যেতে পারে. কিন্তু বর্তমানে অল্প বয়সী young ছেলেদের শরীরে টেস্টোস্টেরন রানের ঘাটতি হওয়ার প্রধান কারণ হলো প্রত্যেক দিন নোংরা ভিডিও দেখে শরীরের সবথেকে মূল্যবান ধাতু বীর্যকে নষ্ট করা, যাতে টেস্টোস্টেরন সয়নের মাত্রা কম হওয়ার সাথে সাথে পুরুষ শরীরে আরো অনেক রকমের নেগেটিভ সাইড এফেক্ট দেখা দিতে শুরু করে.তো যাই হোক এটা তো বোঝা গেলো যে শরীরে টেস্টোস্টেরন অভাব থাকলে সেটা আপনি কিভাবে বুঝবেন? আর এর ফলে আপনার শরীরে কি কি এফেক্ট দেখা দিতে পারে? এন্ড এখন প্রশ্ন হলো যে কিভাবে আমরা আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করবো? তো মাত্র চারটি উপায়কে ফলো করে খুব সহজেই আপনি আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন মাত্রাকে বাড়াতে পারবেন. আর আপনি যদি মন দিয়ে চারটি বিষয়কে টানা একমাসও পালন করেন. তাহলে আপনি আপনার শরীরের উন্নতি নিজেই দেখতে পাবেন. আর এই চারটি বিষয়ের মধ্যে সবার প্রথমেই আসে. 1. foods. আয়ুর্বেদ বলে food is the real medicine  অর্থাৎ খাদ্যই হলো আমাদের শরীরের প্রধান ঔষধ এন্ড আপনি হয়তো বুঝতেই পারছেন যে আপনার পুরুষত্বকে ফিরিয়ে আনতে গেলে বা শরীরের টেস্টোস্ট্রনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করতে গেলে প্রচুর পরিমান খাবার খেতে হবে কারণ আপনি যদি খাবারই না খান তাহলে আপনার শরীর টেস্টোস্টেরন প্রডিউস করার জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রেন্টস কোথা থেকে পাবে.শুধু বেশি বেশি খাবার খেলেই চলবে না. আপনাকে অবশ্যই হেলদি খাবার মেনটেন করতে হবে. তো এখন কথা হলো কি কি খাবার খেলে? আপনার টেস্টোস্টেরন অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পাবে. মূলত তিন ধরনের নিউট্রিয়ন যুক্ত খাবার. টেস্টোস্টেরন হরমোনকে বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করবে. যার মধ্যে নাম্বার ওয়ান হলো জিঙ্ক,নাম্বার টু ভিটামিন ডি এবং নাম্বার থ্রি স্যাচুরিচড ফ্যাট. এই তিন ধরনের নিউট্রিয়েন্স. আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে সব থেকে দ্রুত কাজ করে. তো এই জিঙ্ক আসলে কোন কোন খাবারের ভেতর থাকে. জিঙ্ক মূলত রসুন, পালং শাক, বাদাম এবং ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমান পাওয়া যায়. ভিটামিন ডি দুধ, ডিম, টুনা মাছ. এবং সকালে সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমান ভিটামিনটি থাকে. তাই মেডিক্যাল সাইন্সও সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে সংবাদ নিতে রেকমেন্ড করে. অর্থাৎ আপনি যদি সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে,পাঁচ থেকে দশ মিনিট সূর্যের আলোতে হাঁটাচলা করেন. তাহলে আপনার শরীর সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি অ্যাপ জব করতে পারে. আর এটাই হলো আমাদের পৃথিবীতে পাওয়া ভিটামিন ডি এর সবথেকে বেস্ট সোর্স. এবং তৃতীয়ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট,স্যাচুরেটেড ফ্যাট সাধারণত কুড়ি গ্রামের বেশি একদিনে খাওয়া উচিত নয়. নয়তো এতে হিতে বিপরীত হতে পারে. আর এটা মূলত ডিমের কুসুম মুরগির মাংস, নারকেল, পনির, দুধ ও ঘি এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমান পাওয়া যায়. তাই আপনাকে অবশ্যই এই ধরনের খাবারগুলি আপনার প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় মেনটেন করার চেষ্টা করতে হবে. আমি আপনাকে এই সমস্ত খাবারগুলো প্রত্যেকদিন খেতে বলছি না. এর মধ্যে থেকে যেটুকু আপনি এফোর্ট করতে পারবেন সেটুকু থেকেই ধীরে ধীরে নিজের হেলদি ডায়েট মেনটেন করা শুরু করুন. 2.ওয়ার্কআউট. প্রচুর সাইন্টিফিক গবেষণায় জানা গেছে যে টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে ওয়ার্কআউট অনেক বড় ভূমিকা রাখে.প্রত্যেক দিন ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীরে কিছু হরমোন নিঃস্বারিত হয়. যার মধ্যে থেকেই অন্যতম হলো টেস্টোস্ট্রন. এবং যখন আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণ হয়. তখন আপনার শরীর দ্রুত গতিতে মাসেল বিল্ট করতে শুরু করে. এর ফলে আপনার মনও ভালো থাকবে. এমনকি যৌন শক্তিও বাড়বে. এবং যখন আপনি workout করবেন তখন আপনার শরীরে ইনডোর্ফিন নামের একটি হরমোন নিঃস্বারিত হবে. যে হরমোনটি আপনার মন ভালো রাখতে আর অলওয়েজ আপনার শরীরের অ্যানার্জিকে ঠিক রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে. তাই প্রত্যেকদিন অল্প হলেও ওয়ার্কআউট অবশ্যই করুন. এর মানে কিন্তু এই নয় যে আপনি প্রথম দিন থেকেই জিমে গিয়ে এক এক ঘণ্টা ওয়ার্ক আউট করা শুরু করলেন.আপনি প্রথমে সকাল কিংবা বিকাল বেলায় মাত্র পাঁচ মিনিট কিংবা দশ মিনিট থেকে আপনার workout journey শুরু করতে পারেন. আর এভাবেই ধীরে ধীরে এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হলে, তখন আপনি আপনার workout এর টাইমিংটাকে বাড়াতে পারেন. আর আপনার হাতে যদি কিছু এক্সট্রা টাইম থাকে তাহলে আপনি পরবর্তীতে জিমে গিয়ে সিক্স প্যাকও বানিয়ে দিতে পারেন. কিন্তু তার আগে আপনাকে ওয়ার্কআউট স্টার্ট অবশ্যই করতে হবে. নাহলে আপনার এই সমস্ত ভাবনা শুধু ভাবনা হয়েই থেকে যাবে. তাই আপনার পক্ষে যেটুকু সম্ভব সেটুকু থেকেই শুরু করুন. কিন্তু শুরু অবশ্যই করুন. নাম্বার থ্রি স্লিপ, আপনার প্রত্যেকদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে. পুরুষ শরীরে টেস্টোস্টেরোন হরমোন না বাড়তে পারার অন্যতম কারণ হলো. সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে না ঘুমানো. আমাদের শরীরে রাতে ঘুমানোর সময় টেস্টোস্টেরোন হরমোন প্রোডিউস হয়. তাই যদি আমরা রাতে দেরি করে ঘুমাই বা কম ঘুমাই তাহলে টেস্টোস্টেরোন হরমোন নিঃস্বারিত হতে পারে না তাই আপনাকে অবশ্যই সঠিক সময় এবং সঠিক পরিমাণে ঘুম নিতে হবে রাতে আপনাকে অবশ্যই সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে আর যদি আপনার ঘুম না আসার সমস্যা থাকে তাহলে আপনি ঘুমানোর আগে কিছু পরিমান বাদাম খেতে পারেন কারণ বাদামের ভেতর থেকে প্রচুর পরিমান ম্যাগনেসিয়াম যেটা আমাদের ঘুম আসতে সাহায্য করে. অ্যান্ড নাম্বার ফোর স্ট্রেস. শরীরের টেস্টোস্টেরোন ঘাটতি দেখা দেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো. অতিরিক্ত স্ট্রেস. শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনকে ইনক্রিস করে পুরুষত্ব বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই স্টেজ ফ্রি থাকতে হবে অর্থাৎ আপনার কোনো রকম দুশ্চিন্তা করা যাবে না অতিরিক্ত নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা করা যাবে না কিংবা ডিপ্রেশনে থাকা একেবারেই চলবে না কারণ আমরা যখন বেশি পরিমাণে দুশ্চিন্তা করি তখন আমাদের শরীরের ভেতর কর্টিশাল নামের একটি হরমোন বৃদ্ধি পায়. আর এই হরমোন আমাদের শরীরে যত বেশি থাকবে শরীরের টেস্টোস্টেরন মাত্রা ততটাই কম থাকবে. এছাড়াও এই কর্টিসল হরমোনের প্রভাবে আমাদের শরীরে আরো অনেক রকমের ক্ষতির প্রভাব দেখা দেয়. যেমন ঘুম না আসা.ভুরি বেড়ে যাওয়া এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যাওয়া. তাই আপনাকে যতটা পসিবেল. রিলাক্স থাকার চেষ্টা করতে হবে. কারণ যে কোন কিছু নিয়ে বেশি পরিমাণ স্ট্রেস নিলে. কখনোই সেই প্রবলেমটা কিন্তু সল্ভ হয়ে যায় না. বরং সেই প্রবলেমটা আরো বাড়তেই থাকে. এন্ড এছাড়ও স্ট্রেস ফ্রি থাকার জন্য সবথেকে একটা ভালো উপায় হল ওয়ার্কআউট করা. যেটা আমি আপনাদেরকে অলরেডি সাজেস্ট করেছি,এ ছাড়াও আপনি আপনার এক্সটেজ কম করার জন্য কিছুদিনের অন্তর অন্তর কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন. বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে পারেন. ফ্যামিলির সঙ্গে টাইম কাটাতে পারেন. অর্থাৎ আসল কথা হল আপনাকে টেনশন ফ্রি অ্যান্ড রিলাক্স থাকতে হবে মানে বিনা কারণে সব সময় টেনশন দুশ্চিন্তা কিংবা ডিপ্রেশনে থাকলে চলবে না আর যদি আপনি এই চারটি নিয়মকে যথাযথভাবে ফলো করেন তাহলে ভাই আপনার টেস্টোস্টেরোন হরমোন অবশ্যই বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে এবং আপনার চেহারা ,পুরুষত্ব এবং যৌন শক্তি ধীরে ধীরে আগের মতো হতে শুরু করবে.  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ