শরীরের শক্তি বাড়ানোর উপায় | How to Increase your Body Power & Strength without Investing Money

 আপনি আপনার পুরুষত্বকে বাড়াতে চান এবং একটা শক্তিশালী ফিজিক্যাল অধিকারী হতে চান. আপনি চান যে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলে লোকে যেন পেছনে ঘুরে আপনার দিকে তাকায়. আর বিশেষ করে সমস্ত মেয়েরা যেন আপনার প্রতি attract হতে শুরু করে.  আপনি হয়তো অলরেডি জানেন যেরকম সুন্দর ফিজিক পেতে গেলে একজন পুরুষের শরীরে সবথেকে বেশি যে জিনিসটার প্রয়োজন সেটা হলো টেস্টোস্টেরন. এটাই হলো সেই স্পেশাল হরমোন. যেটা একজন পুরুষকে পুরুষ বানিয়ে তোলার পেছনে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে. এই টেস্টোস্টেরনের জন্যই আমাদের মুখে দাড়ি গজায়. আমাদের গলার স্বর ভারী এবং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে,museless তৈরী হয়. এবং এই হরমোনটাই পুরুষদেরকে একজন মহিলার থেকে ভিন্ন বানিয়ে তোলে. এছাড়াও এই হরমোনদের ওপরেই ডিপেন্ড করে যে আপনি কত ফোকাসের সাথে কোন কাজকে করতে পারছেন. আর যেহেতু একজন পুরুষ শরীরে মাসেল তৈরি করতে টেস্টোস্ট্রন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে.তাই এটাও বলা যায় যে টেস্টোস্টেরন ডিরেক্টলি বা ইন্ডিরেক্টলি আমাদের শরীরের গ্রোথ এবং ওজন কমা বাড়ার সাথেও যুক্ত তাই যদি আমরা কোনোভাবেই এই হরমোনটিকে আমাদের শরীরে ইনক্রিজ করতে পারি তাহলে পুরুষত্ব যৌবন শক্তি এবং সুন্দর চেহারা সবকিছু 

পাওয়া possible.আমরা আমাদের লাইফে অ্যাপিয়ারেন্সও পার্সোনালিটিকে নিয়ে এমনিতেই অনেক বেশি কনসাস থাকে. আর তার মধ্যে যদি আমাদের ওজন অনেকটা কম হয় তাহলে সেটা আমাদের পার্সোনালিটির ওপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে. আপনি আপনার weight বাড়ানোর জন্য হয়তো daily exercise করছেন. ভালো diet ও maintain করছেন. বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবারও খাচ্ছেন. কারণ প্রোটিন আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে. কিন্তু এত কিছু করার পরেও যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি না পায় তার মানে হলো আপনার body ওই প্রোটিন কে ঠিক মতো absorb ই করতে পারছে না. তাহলে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে শরীরে প্রোটিন কে ঠিক মতো absorb করার জন্য. আপনি আপনার diet এ প্রোবায়োটিক অ্যাড করতে পারেন. অ্যাকর্ডিং টু ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন প্রোবায়োটিকসে এমন সমস্ত এনজাইম থাকে. যেগুলো প্রোটিনকে ডাইজেস্ট করার জন্য অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট. basically আপনি যে বাকি মানুষদের থেকে আলাদা এবং আপনি যে একজন পুরুষ মানুষ এই সব কিছুই নির্ভর করে টেস্টোস্টেরোন হরমোনের উপর. আমরা মেন্টালি এবং ফিজিক্যালি কতটা স্ট্রং হব. তার নির্ভর করে থাকে. আমাদের শরীরে কত পরিমান টেস্টোস্টেরোন হরমোন আছে তার উপর. একজন সুস্থ এবং স্বাভাবিক পুরুষ মানুষের শরীরে তিনশো থেকে একহাজার ন্যানোগ্রাম পার ডেসিমেল পরিমান টেস্টোস্টেরোন হরমোন থাকে. মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের শরীরে পাঁচ গুণ বেশি টেস্টোস্টেরোন প্রোডিউসার হয়. এই জন্যই মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা অনেক বেশি স্ট্রংও হয়ে থাকে. এমনকি মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের যৌন উত্তেজনাও অনেক বেশি হয়ে থাকে. আর এই কারণেই টেস্টোস্টেরোন হরমোনটিকে মেল হরমোনও বলা হয়. নিউ ইয়র্কে করা একটা রিসার্চ থেকে জানা যায় যে প্রতি এক বছরে ছেলেদের শরীরে ওয়ান পার্সেন্ট করে টেস্টোস্টেরোন হরমোন কম হয়ে যাচ্ছে. যে কারণে আমরা বর্তমানে অতটাও স্ট্রং নই. যতটা আমাদের পূর্ব পুরুষ এবং আমাদের বাবা দাদুরা ছিলেন. কারণ সেই সময় তাদের শরীরে আমাদের থেকে অনেক বেশি পরিমানে টেস্টোস্টেরোন  হরমোন ছিল. সো এখন কথা হলো আমরাও কিভাবে তাদের মতো. আমাদের শরীরে সঠিক মাত্রায় টেস্টোস্ট্রনের পরিমান বাড়াতে পারবো. কিন্তু সেটা জানার আগে আমাদের প্রথমে এটা জানতে হবে যে আমাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে টেস্টোস্টেরোন হরমোন আছে কিনা. আর এটা বেসিক্যালি একজন পুরুষ দুটো উপায়ে বুঝতে পারেন.প্রথমটি হলো মেডিক্যাল টেস্ট করার মাধ্যমে আর দ্বিতীয়ত শরীরের কিছু লক্ষণ বা পরিবর্তন দেখে এমন কিছু পরিবর্তন বা লক্ষণ যার মাধ্যমে আপনি এটা বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে সঠিক পরিমানে টেস্টোস্টেরোন হরমোন আছে নাকি নেই. তো প্রথম লক্ষণ হলো আপনার সব বিষয়ে বিরক্তি লাগবে. দ্বিতীয়ত ঘুমাতে অসুবিধা হবে. আপনি ঘুমাতে পারবেন না. নাম্বার থ্রি মাথা ঘোরা থেকে শুরু করে আপনার অতিরিক্ত ক্লান্তি দেখা দেবে. নাম্বার ফোর দাড়ি থেকে শুরু করে মাথার চুল ঝরতে শুরু করবে.নাম্বার ফাইভ অতিরিক্ত ওজন বাড়া থেকে শুরু করে মেয়েদেরও ভুঁড়ি বাড়তে থাকবে. নাম্বার সিক্স আপনার মধ্যে মেয়ে সুলভ আচরণ দেখা দেবে. নাম্বার সেভেন আপনি আপনার কনফিডেন্স লেভেল দিন দিন হারাতে থাকবেন. নাম্বার এই আপনার যৌন ইচ্ছা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করবে. অ্যান্ড নাম্বার নাইন আপনার লিঙ্গের জোর ধীরে ধীরে কমতে থাকবে. আর এই লক্ষণগুলির মাধ্যমেই আপনি এটা বুঝতে পারবেন. যে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরোন হরমোনের ঘাটতি আছে. আর সাধারণত চারটি উপায়ে আমরা আমাদের শরীরে ন্যাচারালি টেস্টোস্টেরোন হরমোনকে বাড়াতে পারি সবথেকে ইম্পর্টেন্ট ফুডস. অর্থাৎ আপনাকে সঠিক পরিমাণে হেলদি খাবার কনজিউম করতে হবে. নাহলে আপনার টেস্টোস্টেরোন হরমোন কখনোই বাড়বে না. তো এখন প্রশ্ন হল যে কি কি খাবার খেলে টেস্টোস্টেরোন  হরমোনটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে. তো বেসিক্যালি তিন ধরনের নিউট্রিয়েন্টস. টেস্টোস্টেরোন, হরমোনকে দ্রুত বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে. যার মধ্যে সবার প্রথমেই আসে. নাম্বার ওয়ান জিং. নাম্বার টু হল ভিটামিন ডি. এবং নাম্বার থ্রি স্যাচুরেটেড ফ্যাট. আমি আপনাদেরকে কিছু খাবারের নাম বলবো যেগুলি খেলে আপনাদের শরীরে টেস্টোস্টেরোন হরমোন ন্যাচারালি খুব দ্রুত বাড়তে শুরু করবে আর আপনাদের কথা মাথায় রেখে এই লিস্টটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে খুব সহজেই খাবারটি আপনি হাতের নাগালে পেয়ে যান এবং আপনাকে যাতে এর জন্য অধিক মাত্রায় খরচ করতেও না হয় আর এই খাবারগুলির ভেতর সবার প্রথমেই আসে ডালিম. রিসার্চ থেকে জানা গেছে যে যৌন ক্রীড়ায় অক্ষম পুরুষদের মধ্যে সাতচল্লিশ শতাংশ উন্নতি হয়েছে. যারা নিয়মিত ডালিম খ্যাত. ডালিমে আছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ও জিং. এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের বিভিন্ন উপাদান. নিয়মিত ডালিম খেলে. আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরোন বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরে রক্তচাপ কমিয়ে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে. এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে. তো এর পরের খাবারটি হলো ডিম. ডিমে আছে ভিটামিন ডি এবং ডিমের কুসুমে আছে কোলেস্ট্রল, ছাড়াও আছে প্রোটিন, Omega three, saturated fat. আপনারা হয়তো জানেন যে টেস্টোস্টেরোন হরমোন বাড়াতে এই সমস্ত উপকরণ খুবই জরুরী. আর সব থেকে ভালো হয়. যদি আপনি দেশি মুরগির ডিম খেতে পারেন কারণ দেশি মুরগির ডিমে এই সকল উপকরণ সব থেকে বেশি থাকে. এবার যদি দেশি মুরগির ডিম না পান তবে আপনি আপনার পছন্দ মতো যেকোনো ডিম খেতে পারেন.পরবর্তী খাবারটি হল রসুন. আপনাদের হয়তো এটা শুনে অবাক লাগতে পারে. কিন্তু রসুনের ভেতর থাকা উপাদানগুলি স্ট্রেস হরমোন. অর্থাৎ কটিসলকে কম করতে অনেক বেশি সাহায্য করে. আর আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে আমাদের শরীরে কটিসল হরমোন যত বেশি প্রোডিউস হবে. টেস্টোস্টেরোন হরমোন ততই কমতে থাকবে,তাই কডিশাল হরমোনকে কম করতে রসুন অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান আর আপনি যদি কাঁচা রসুনকে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে তার উপকারিতা অনেক বেশি কিন্তু যদি আপনি কাঁচা রসুনকে চিবিয়ে চিবিয়ে না খেতে পারেন তবে রসুনকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে জল দিয়ে গিলে খেতে পারেন.and এর পরের খাবার আসে বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম এবং চীনাবাদাম এর ভেতরে থাকে শরীরের জন্য প্রচুর পরিমান প্রয়োজনীয়, মনুস্যাচুরাটেড ফ্যাট. এটি দেখে কোলেস্টল তৈরি করবার পাশাপাশি যৌন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে. এছাড়াও নারী পুরুষের যৌনতাকে বাড়ানোর জন্য.একমুঠো কাঠবাদামি যথেষ্ট. বাদামে আছে জিঙ্ক. যা টেস্টোস্টোন বাড়ায় ও যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি করে. এছাড়াও আপনার যদি রাতে ঘুম না আসে বা ঘুম আসার সমস্যা থাকে. তবে আপনি ঘুমানোর আগে কিছুটা পরিমান বাদাম খেতে পারেন. কারণ বাদামে জিঙ্কের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে. যা আমাদের ঘুম আসতে হয়. ভীষণভাবে সাহায্য করে. সো নেক্সট কভারটি হল কিসমিস. মানব শরীরের যৌন উদ্দীপনা ও যৌন শক্তিকে ঠিক রাখতে কিসমিসের সাথে অন্য কোন খাবারের তুলনায় হয় না. আপনি হয়তো অলরেডি জানেন যে আঙ্গুর ফলকে বিশেষ প্রক্রিয়া. কিসমিসে রূপান্তরিত করা হয়. কিন্তু গুণের দিক থেকে আঙ্গুরের থেকে কিসমিসের ভূমিকা অনেক বেশি. তাই আপনি অবশ্যই নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন. আর সব থেকে better হলো রাতে কিছুটা জলের ভেতর সামান্য পরিমান কিসমিস ভিজিয়ে রেখে দিন এবং তা সকালে খেয়ে ফেলুন. এভাবে খেলে কিসমিসের উপকারিতা অনেক বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়. আর এই সমস্ত খাবারগুলির পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি আপনি বেশি বেশি খেতে পারেন. আর তার সাথে সাথে এই ভিটামিন ডি এর জন্য সব থেকে ভালো সোর্স হলো সূর্যের আলো. তাই সকালে দশ থেকে পনেরো মিনিট. সূর্যের আলোতে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন. এই সমস্ত খাবারগুলি যদি আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন. তবে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি যে ন্যাচারালি আপনি আপনার বীর্যকে বাড়িয়ে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় চেহারার মালিক হয়ে উঠতে পারবেন.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ